হোম > ছাপা সংস্করণ

বিএনপি, সহিংসতা এবং বাস্তবতা

সম্পাদকীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন একাধিক সভায় বক্তৃতা করছেন। তিনি দেশবাসীকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বিএনপির বিরুদ্ধেও কথা বলছেন। বিএনপি ক্ষমতায় নেই প্রায় ১৭ বছর। কোনো আন্দোলনেও বিএনপি সফলতা পায় না। কিন্তু তারপরও কি দলটির জনসমর্থন কমছে? যদি এই দল হীনবল হয়ে থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের তাবৎ বড় বড় নেতাকে প্রতিদিন কেন বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলতে হচ্ছে?

বুধবার বরিশালে আওয়ামী লীগের এক নির্বাচনী জনসভায় বিএনপি-জামায়াত মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করে বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি ধিক্কার জানাই ওই বিএনপি-জামায়াতকে। বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের কোনো রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নেই। কারণ, তারা মানুষ পোড়ায়। মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে আর ওদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানো। তাদের কি মানুষ চায়? মানুষ তাদের চায় না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দোসর হচ্ছে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীরা; যারা গণহত্যা করেছে, লুটপাট করেছে, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করেছে, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাদের বিচার হয়েছে, শাস্তি হয়েছে—সেই জামায়াত। কাজেই খুনি, অর্থ পাচারকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারীদের সঙ্গে জুটেছে যুদ্ধাপরাধীদের দল। এরা নির্বাচন চায় না, নির্বাচন বানচাল করতে চায়।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪-এও বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমূলে উৎপাটিত করার সুপরিকল্পিত নীলনকশার অংশ হিসেবেই প্রতিহিংসাপরায়ণ বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই একের পর এক সশস্ত্র আক্রমণ-অভিযান পরিচালনা করে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা ছিল সেই নৃশংস বর্বরতার চরমতম বহিঃপ্রকাশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে উল্লেখ করায় এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে কঠোর মন্তব্যের পর সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠবে, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রমাণ করে দলটির নিবন্ধন বাতিল করার পথে হাঁটার কোনো দূরবর্তী পরিকল্পনা সরকারপ্রধানের মাথায় আছে কি না?  

বিএনপি সব সময় আন্দোলনের কথা বলে। অথচ আন্দোলনের জন্য জনমত তৈরির পথে না গিয়ে সহিংসতা বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দলটি বেশি উৎসাহী। এটা প্রমাণ করতে চাইলে করা যাবে। এভাবে আইনি প্রক্রিয়ায় বিএনপির নিবন্ধন বাতিলও হয়তো করা যাবে। কিন্তু তাতে কি দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হয়ে যাবে? স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে দেওয়া না হলে দলটি কি তখন শুধু উগ্রতার পথেই হাঁটবে না? দেশের মানুষের মনোজগতের অবস্থান, আদর্শিক রাজনীতির ঘাটতি ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করা উচিত। একটি সন্ত্রাসী দলের পক্ষে কেন মানুষের দুর্বলতা, তার কারণ বোঝার চেষ্টা না করে শুধু বিরুদ্ধে কথা বলে সুফল পাওয়া যাবে না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ