সাতক্ষীরার দেবহাটায় তৃতীয় ধাপে গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর থেকে সহিংসতা থামছে না। এতে বাড়ছে মামলার সংখ্যা। ভীতি বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
কুলিয়া ও সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদে গত বুধবার ঘটে যাওয়া দুটি সহিংসতায় আরও পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। এতে দুই মামলায় ৮ জন আসামিকে আটক করেছে দেবহাটা থানা-পুলিশ।
কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দেউকুলে বসতবাড়িতে প্রবেশ করে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আলমগীর হোসেন (৪২) বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে গত বুধবার একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় ৫ জন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।
অপরদিকে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে পরাজিত চেয়ারম্যানের বাড়ি নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ ফারুক হোসের ওপর হামলার ঘটনায় তাঁর মা ফতেমা খাতুন বাদী হয়ে একই দিনে ১০ জনসহ ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
এ মামলায় কামটা গ্রামের গোপাল মণ্ডল (৫২), উত্তর সখীপুরের আব্দুর রহিম (৫০) ও সখিপুরের বিল্লাল হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বর্তমানে এসব এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে সাধারণ মানুষ সহিংস কর্মকাণ্ড পরিহার করতে উভয়কে স্বাভাবিক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, আটক ব্যক্তিদের গতকাল বৃহস্পতিবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কঠোর অবস্থানে আছে পুলিশ।