নবীগঞ্জ উপজেলায় গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের ৩টি কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খালেদ মোশারফ। গতকাল বুধবার তিনি উপজেলা রিটার্নিং অফিসার এবং জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউপির ৩টি কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করতে অনেক সময় নেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ করলে ঘোড়া প্রতীকের এজেন্টদের সঙ্গে কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা খারাপ আচরণ করেন। ফলে চেয়ারম্যান প্রার্থী খালেদ মোশারফের সন্দেহ সৃষ্টি হয়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট ভাকৈর কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ হাজার ৩৪১। ভোট দেন ১ হাজার ৮৩ ভোটার। বৈধ ভোট ১ হাজার ৭৬ ও অবৈধ ভোট দেখানো হয় ৭ টি। ওই কেন্দ্রে এজেন্ট ও উপস্থিত লোকজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ মোশাররফ পান ৭৫০ ভোট। আর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আক্তার মিয়া পান ভোট ২৩১ ভোট। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে বারবার ফোন আসলে বাতিল ভোট এবং ঘোড়া প্রতীকের ২১৬টি ব্যালট পেপার আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ব্যালেট পেপারের বান্ডিলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পুনরায় ভোট গণনায় গরমিল করে নৌকার প্রার্থীর ভোট বেশি দেখিয়ে তড়িঘড়ি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল ঘোষণা করেই প্রিসাইডিং অফিসার কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের যথাক্রমে কামড়াখাইর ও হরিনগর কেন্দ্রে একই ভাবে কারচুপি করে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করা হয়।