বগুড়া সদর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে রোববার রাতে মামলাটি করেন আহত নাজমুল হাসান অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্ণালি আক্তার। মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরও চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ। রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে সদরের মালগ্রাম এলাকার ডাবতলা মোড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সহসম্পাদক নাজমুল হাসান অরেঞ্জ ও শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আপেল। তাঁরা বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ দুজনের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত দুজনই মালগ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে মালগ্রাম এলাকার ডাবতলা মোড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অরেঞ্জ, আপেলসহ কয়েকজন মিলে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাঁদের ওখানে কয়েকটি মোটরসাইকেলে হামলাকারীরা এসে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। হামলাকারীদের হাতে ধারালো অস্ত্রও ছিল। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অরেঞ্জ ও আপেল গুলিবিদ্ধ হন। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাঁদের উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নেন স্বজনেরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জেরে অরেঞ্জ ও আপেলকে গুলি করা হয়েছে। তাঁদের লক্ষ্য করে পরপর গুলি ছোড়া হয়। এর মধ্যে অরেঞ্জের বাম চোখের নিচে একটি এবং আপেলের পেটে একটি গুলি লাগে।
পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, এখনো গুলিবর্ষণের ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।