সনদে নাম ও তারিখ সঠিক থাকলেও অনলাইনে দেখাচ্ছে ভুল। এমন ভুলের সমাধান করতে অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
উপজেলার ধীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী অরিন উদ্দিন। তার বাবার নাম ফরিদ উদ্দিন, জন্ম তারিখ ২০০৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। জন্ম রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২০০৬৫৯১৯৪৩৯০০২০৪৬। রেজিস্ট্রেশন হয় ২০০৮ সালের ২০ এপ্রিল এবং বাংলায় ও ইংরেজিতে সনদ ইস্যু হয় ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর। ইস্যু করেছেন তৎকালীন ধীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন শেখ।
অরিন উদ্দিনের জন্ম সনদ যাচাই করতে গিয়ে গত ১১ জানুয়ারি ধীপুর ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোক্তা তাকে একই জন্ম রেজিস্ট্রেশন নম্বরে প্রিন্ট কপি দেন। যেখানে তার নাম, পিতার নাম, জন্ম তারিখ ভুল লিপিবদ্ধ। সেখানে দেখায়, নাম অরিন আক্তার, পিতা মো. নাবিল শেখ, জন্ম তারিখ ২০০৬ সালের ১০ মার্চ।
শিক্ষার্থী অরিন উদ্দিন বলেন, ‘আমার জন্ম সনদের অনলাইন ভার্সন পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। আমি ইউনিয়ন পরিষদে এসে ভুল তথ্য পেলাম। জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিস প্রাপ্তিতে অনেক সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হবে। ভুলের দায় কার।’
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) টঙ্গিবাড়ীর সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার মাঝি জানান, দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির উদাসীনতা, দায়িত্বে অবহেলার কারণে জন্মসনদ গ্রহীতারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এখন সনদ সংশোধনের জন্য নানান পদ্ধতিতে পরে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে ধীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন লিপিবদ্ধ হওয়ার সময় আমি চেয়ারম্যান ছিলাম না। তবে যত দ্রুত সম্ভব এ ধরনের সমস্যাগুলো সমাধান করব।’
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিন অন্তরা বলেন, ‘জন্মসনদে কোনো ভুল থাকলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে আবেদন করলে তা সমাধান করে দেওয়া হয়।’