কেরানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হারুনুর রশীদ নামে এক সদস্য প্রার্থীর কাছ থেকে ২০ লক্ষাধিক টাকা আদায় করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই প্রার্থী জয়ী না হওয়ায় সেলিমের কাছে টাকা ফেরত চেয়েছেন। এমন একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাক্তা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী হারুনুর রশীদ বলেন, ‘নির্বাচনে আমাকে জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম কয়েক দফায় ২০ লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন। ২০ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি আমার কাছ থেকে ৪ লাখ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ৩ লাখ এবং নির্বাচনের আগের দিন (২৭ নভেম্বর) ১২ লাখ নিয়েছেন। আমি নিজে গিয়ে তাঁর ঘাটারচরের অফিসে টাকাগুলো পৌঁছে দিয়েছি। নির্বাচন ছাড়াও তিনি আমার কাছ থেকে ৪৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। আমি জমি বিক্রি করে তাঁকে টাকা দিয়েছি। তিনি ভালো মানুষ সেজে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন।’
অডিওতে শোনা যায়, হারুন বলছেন- ‘চান রাইতের দিন (নির্বাচনের আগের দিন) ১২ লাখ টাকা নিলেন। কিন্তু আমার জন্য কি করলেন?’ জবাবে ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম বলেন- ‘প্রশাসন কারচুপি করতে দেয় নাই।’
এ সময় হারুন বলেন- ‘ভাই যা হওয়ার হইছে, আপনি আমার টাকাগুলো ফেরত দেন।’ তখন সেলিম বলেন, ‘রাজনৈতিক সংগঠনে মানুষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে মেম্বার-চেয়ারম্যান নির্বাচন করে। রাজনীতি করতে গেলে টাকা লাগে। টাকা দিছস। ভবিষ্যতেও দিবি।’ এ সময় উত্তেজিত কণ্ঠে হারুন বলেন, ‘আপনি আমার কাছ থেকে টাকা নিছেন, আবার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ২ কোটি টাকা নিছেন।’
সদস্য প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম বলেন, ‘এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। আমার প্রতিপক্ষ মিথ্যা নাটক সাজিয়ে এটা করেছে। আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি করি। ওইরকম স্বভাবের হলে অনেক টাকা কামাতে পারতাম। আমার ঢাকা শহরে কোনো বাড়ি নেই, ব্যক্তিগত গাড়ি নেই। ব্যাংক ব্যালেন্সও নেই।’