মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের একটি কালভার্টের মধ্যবর্তী অংশের স্ল্যাব ভেঙে গেছে। এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। রাস্তার মাঝখানে গর্ত থাকায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। অভিভাবকদের দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে। এ ছাড়া কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে পরিবহন খরচ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, কালভার্টের মধ্যবর্তী স্থানের স্ল্যাবের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে আছে। পথচারীরা হেঁটে চলাচল করছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. শহর আলী কালভার্টের পশ্চিম পাশে ইটের গাঁথুনি দিয়ে তাঁর অংশের জমিতে মাটি ভরাট করেছেন। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় আবু বক্কর বলেন, পাকিস্তান আমলে স্থাপিত সাটুরিয়া সিনেমা হল নামের সড়কটির মধ্যবর্তী স্থানে কালভার্ট ভেঙে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কালভার্টটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করে যান চলাচলের উপযোগী করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
কালভার্টের পশ্চিম পাশ ইট দিয়ে কেন আটকে দিয়েছেন জানতে চাইলে সাটুরিয়া ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহর আলী বলেন, ‘আমার জমিতে মাটি ভরাট করার জন্য ইটের গাঁথুনি দিয়ে কালভার্টের এক পাশ আটকে দিয়েছি। এতে পানিপ্রবাহ বন্ধ রয়েছে। চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে কালভার্টটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।’
সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভেঙে যাওয়া কালভার্টটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।