ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই সপ্তাহ ধরে দেখা দিয়েছে জ্বর-সর্দির প্রকোপ। ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর-সর্দি ও কাশির জ্বর-সর্দি ও কাশি। আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছে। ফার্মেসিগুলোতে জ্বর, সর্দি ও কাশির ওষুধের জন্য ভিড় করছে রোগীরা। কেউ কেউ হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছে। করোনার উপসর্গ এবং ভাইরাসজনিত রোগের উপসর্গ একই হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে অনেকেই।
উপজেলার অরুয়াইল বাজারের ভাই ভাই মেডিকেলের চিকিৎসক জাকির হোসেন বলেন, ‘দুই সপ্তাহ ধরে শুধু সর্দি, জ্বর ও কাশির রোগী দেখছি। প্রত্যেক রোগীর মধ্যে করোনার উপসর্গের মতো উপসর্গ আছে।’
ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে আসা বরইচারা গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমাদের পরিবারের ছোট-বড় সবাই জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। আমি নিজেও জ্বর সর্দিতে ভুগছি। গত পাঁচ বছর আমার জ্বর-সর্দি হয়নি। এবার হয়ে গেল।’
উপজেলার অরুয়াইল বাজারের জনতা ফার্মেসির মালিক জিল্লুর রহমান মিষ্টু বলেন, ‘দুই সপ্তাহ ধরে প্রচুর জ্বর, সর্দি ও কাশির ওষুধ বিক্রি বেশি হচ্ছে। এলাকায় এখন জ্বর, সর্দি ও কাশির রোগীই বেশি। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ শুধু প্যারাসিটামল সিরাপই বিক্রি করছি।’
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফার্মেসিতে এখন সর্দি, কাশি ও জ্বরের রোগী। তবে তাঁদের জ্বর নিয়ে ভীতি থাকলেও করোনা পরীক্ষায় নেই আগ্রহ। দুই সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে এসব রোগের প্রকোপে উপজেলার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে এ ধরনের রোগীর বাড়তি চাপ বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখন উপজেলার বেশির ভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত। তাঁদের বেশির ভাগই স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে সেবন করছেন। এভাবে অনেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আবার কেউ কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সর্দি-কাশি, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নোমান মিয়া বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হতে পারে। দুই দিন গরম আবার একদিন বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই রোদ-বৃষ্টি খেলার কারণে এসব রোগ হচ্ছে। শিশুরা জ্বর-সর্দিতে বেশি ভুগছে। সর্দি, জ্বর ও কাশির সঙ্গে যদি গলা ব্যথা ও পেটের অসুখ থাকে তাহলে করোনা টেস্ট করা দরকার। জ্বর ও কাশি থাকলে এখন কেউ করোনা টেস্ট করতে আসেন না।’