হোম > ছাপা সংস্করণ

প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি

ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। গত রোববার রাত ১০টার দিকে হলের প্রধান ফটকে এ বিক্ষোভ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘প্রভোস্টের পদত্যাগ চাই, স্বৈরাচারী আচরণ চলবে না, প্রভোস্টের টালবাহানা চলবে না চলবে না’ স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রাজিয়া সুলতানা অ্যাপেন্ডিসাইটিসজনিত সমস্যায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান। তাৎক্ষণিক সহপাঠীরা প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার বানুকে ফোন দেন। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করায় আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁকে ফোন দেন। এতে বিরক্তি হয়ে তিনি বলেন, ‘বারবার ফোন দেওয়ার কি আছে? একই ইস্যুতে তোমরা কতবার ফোন দেবে?’

এরপর ছাত্রীরা হাউস টিউটর শিমুল রায়কে ফোন দেওয়ার পর তিনি অ্যাম্বুলেন্স পাঠান। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করায় এবং প্রভোস্টের অসহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা ক্ষেপে যান। এরই প্রতিবাদে ওই হলের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। পরে মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। শিক্ষার্থীরা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, অসদাচরণ এবং দায়িত্বের অবহেলা তাঁর (প্রভোস্ট) বেড়েই চলছে। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যেমন আচরণ করেন, এমন আচরণ কোনো অশিক্ষিত মানুষও করতে পারে বলে মনে হয় না। তা ছাড়া তিনি হলে আসার পর একটাও সাধারণ মিটিং হয়নি।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, প্রভোস্ট কল দিলে বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘আমি তোমার চাকর?’ এক মিনিট হলে ঢুকতে দেরি হলে বলেন, ‘আজ একটু বাইরে থেকে দেখ, কেমন মজা।’ এ ছাড়া বিদ্যুৎ সমস্যায় কল দিলে বলেন, ‘ভুলভাল তথ্য কেন দাও? এমন করবা না।’

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিক হাউস টিউটরকে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা হলে এসে অনেক বিষয় সম্পর্কে জানলাম। যেসব বিষয় আমরা কখনো শুনিনি। পর্যায়ক্রমে সব সমস্যার সমাধান করা হবে। প্রতিটি হলেই এসব ক্ষেত্রে নজরদারি করা হবে।’ 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ