মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে সড়ক খুঁড়ে রেখে এক ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছেন। উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের ভোরণ্ডা গ্রামের সড়কে এই অবস্থা দেখা গেছে। রেজওয়ান ইন্টারন্যাশনাল নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি খুঁড়ে বছরের পর বছর ফেলে রেখেছে। সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
ভোরণ্ডা গ্রামে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস। এখন খুঁড়ে রাখা সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। তাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই সড়ক। এদিকে গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ ছাড়া মূল সড়কের সঙ্গে সংযোগ সড়কগুলো গ্রামবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে কাজে আসছে না এসব সড়ক।
স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন শিকদার জানান, সড়ক বেহাল হওয়ায় চিকিৎসার জন্য রোগীকে তক্তা বা খাটিয়ায় করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে হয়। সড়কের এই অবস্থার কারণে ইতিপূর্বে অনেক পরিবার বাসা ভাড়া নিয়েও অন্য জায়গায় বসবাস করছে।
জানা গেছে, প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কটি টঙ্গিবাড়ী-বালিগাঁও সড়কের মধ্যবর্তী স্থান বলই থেকে যুক্ত হয়ে সুবচনী সড়কের শিলিপুর নামক স্থানে গিয়ে শেষ হয়েছে। তিন বছর আগে সড়কটি উপজেলা এলজিইডির অধীনে টেন্ডার হয়। করোনাকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রেজওয়ান মারা গেলে তাঁর স্ত্রী কাজের তদারকি করেন। প্রায় ছয় মাস ধরে সড়কটি খোঁড়ার পর তাঁরা উধাও হয়ে গেছেন।
যোগাযোগ করা হলে রেজওয়ানের স্ত্রী জানান, সড়ক নির্মাণে মালামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় কাজ শুরু হবে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ‘করোনাকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মারা যাওয়ায় কাজের সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিকের স্ত্রী সেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য আবেদন করলে আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে কাজটি তাঁকে দিই। তিনি কাজটি শেষ না করে ফেলে রাখায় আমরা টেন্ডার বাতিল করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।’