হোম > ছাপা সংস্করণ

কোথাও কোনো ভালো খবর নেই

সম্পাদকীয়

সকালে খবরের কাগজ পড়া যাঁদের দীর্ঘদিনের নিয়মিত অভ্যাস, তাঁদের মন-মেজাজ ঠিক থাকে কি না, এ বিষয়ে একটি গবেষণা হতে পারে। মন খারাপ করা খবরই পত্রিকায় বেশি ছাপা হয়। কারণ সংবাদপত্র বা মিডিয়ার কাছে খারাপ খবরই খবর, ভালো খবর কোনো খবর নয়। তারপরও আজকাল অনেক সংবাদপত্রই ইতিবাচক খবর কিছু পেলে তা প্রকাশ করে থাকে। মানুষ শুধু খারাপ খবর নয়, দু-একটা ভালো খবরও পড়তে চান। খারাপ খবরের চাপ এখন আর অনেকেই নিতে পারেন না।

দেশের সব বয়সী এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষই নানা কারণে ভালো অবস্থায় নেই। কারণ হয়তো ভিন্ন ভিন্ন, কিন্তু আনন্দে-স্বস্তিতে-দুর্ভাবনামুক্ত জীবন কাটাতে পারছেন কত শতাংশ মানুষ? সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, শিশুরা হয়তো তুলনামূলকভাবে ভালো আছে, চাপমুক্ত আছে। না, রোববার আজকের পত্রিকায় ‘শিশুরা কোথাও নিরাপদ নয়’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতিবছর শত শত শিশু নানাভাবে নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। নিম্ন, মধ্য বা উচ্চবিত্ত কোনো শ্রেণির শিশুই নিজের ঘর, কর্মক্ষেত্র বা বিদ্যালয়ে নিরাপদ নয়।

২০২০-২১ সালে পরিচালিত ইনসিডিন বাংলাদেশ নামের একটি বেসরকারি সংগঠনের জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে, ৯৫ দশমিক ৮ শতাংশ শিশু নানাভাবে ঘরেই নির্যাতনের শিকার হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয় মা-বাবা ও অভিভাবকদের দ্বারা। আর এসব নিপীড়ন চালানো হয় নিয়মানুবর্তিতা শেখানোর অজুহাতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের গবেষণা বলছে, শহর এলাকায় ৮৬ দশমিক ১ শতাংশ মা-বাবাই তাঁদের সন্তানকে শারীরিক নির্যাতন করেন, মানসিক নির্যাতন করেন ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। কর্মজীবী শিশুদের শতভাগই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়।

অন্য একটি গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ এলাকার ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সের ৩৫ শতাংশ শিশু সাইবার জগতে উৎপীড়ন, উপহাস, গুজব কিংবা অপমানের শিকার হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের শিকার হয় শহর ও গ্রামের নবম-দশম শ্রেণিতে পড়া ৫৬ শতাংশ কিশোর এবং ৬৪ শতাংশ কিশোরী।

এ তথ্যগুলো উদ্বেগের। বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার ৪০ ভাগ, অর্থাৎ প্রায় ৬ কোটির মতো শিশু। বলা হয়ে থাকে, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্যে বেড়ে ওঠা এই ‘ভবিষ্যৎ’ কেমন হবে, সেটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়।

শিশুদের সুরক্ষা দিতে দেশে আইন থাকলেও শিশু নির্যাতনের কারণে সাধারণত মামলা হয় না; তাই বলা যায়, আইন সেভাবে শিশুদের সুরক্ষা দিতে পারছে না। শিশুদের জন্য জরুরি প্রয়োজন পরিবারের সদস্যদের সংবেদনশীলতা। শিশুদের প্রতি কেমন আচরণ করা উচিত, আর কেমন করা উচিত নয়, সে বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও পালন করতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। প্রশ্ন হলো, সমস্যার কথা জেনেও কেউ কি আসলে প্রতিকারের বিষয়ে কিছু ভাবছেন?

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ