আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি আইন অনুসারে দায়িত্ব পালন না করে তাহলে বিচ্যুতি হবে, এটাই স্বাভাবিক। আগে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে বেশি অভিযোগ আসত, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরে কিছুটা কমেছে কিংবা আমরা খবর পাচ্ছি না। যে কারণে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সেই বিষয়টি সুচতুর ও সুকৌশলে এড়ানোর চেষ্টা চলছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটিয়ে তাদের লক্ষ্য হেফাজতে মৃত্যুর মাধ্যমে ভিন্ন পন্থায় অর্জন করছে।
বাহিনী যখন দুষ্টু হয়ে যায়, সেই দুষ্টুমির মারাত্মক এবং দুঃখজনক বহিঃপ্রকাশ ঘটে এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। বলা হয় অসুস্থতার কারণে, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। আরে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া চালু থাকা অবস্থায় তো কেউ মারা যায় না। কী কারণে তা বন্ধ হলো সেই খোঁজ নেওয়া দরকার। আর হেফাজতে কেউ মারা গেলে বাইরের কারও পক্ষে তো তদন্ত করা সম্ভব নয়।
বন্দুকযুদ্ধে মারা গেলে গণমাধ্যম, মানবাধিকার সংগঠনগুলো এদিক-ওদিক খুঁজে কিছু তথ্য বের করতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় হেফাজতে কেউ মারা গেলে এর চেয়ে বড় দুর্ঘটনা তো হতে পারে না। জাতীয় চার নেতা জেলখানায় নিহত হওয়ার যে ঘটনা, দেশে তো প্রায়ই এখন এমন মৃত্যু ঘটছে। যারা করছে, তারা একই রকম মৃত্যু ঘটাচ্ছে। যদি হেফাজতে মারা যাওয়া ঘটনাগুলোর পরিচ্ছন্ন চিত্র উপস্থাপন করা না হয়, তাহলে মানুষ মনে করবে ওখানে অপকর্ম হয়েছে।
লেখক: সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন