চাঁপাইনবাবগঞ্জে সন্ধ্যা হলে ভোলাহাট-শিবগঞ্জ সড়কের ফলিমারি থেকে সোনাজল সড়কের তিন কিলোমিটার রাস্তায় ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। পুলিশের নিয়মিত টহল জোরদার থাকলেও এ ঘটনা ঘটেই চলেছে। এর স্থায়ী সমাধান চান এই এলাকার বাসিন্দারা।
সবজিচাষি মো. এহেশান আলী বলেন, সরকার ডিজিটালভাবে দেশ পরিচালনা করছে। আড়াই-তিন কিলোমিটার রাস্তা ডিজিটালের আওতায় আনলে ডাকাতি স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে পারে। রাস্তার দুই ধারে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করলে থানায় বসে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
জনপ্রতিনিধি ইয়াজদানী জর্জ বলেন, রাস্তার দুই ধারে বিভিন্ন জাতের গাছে এক প্রকার জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা হলে ভয়ে এ রাস্তা দিয়ে কেউ যাতায়াত করতে পারে না। গাছগুলো কেটে ফেললে রাস্তাটি ফাঁকা হলে আতঙ্ক অনেকটা দূর হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রাস্তাটির পশ্চিম দিক ভারতের খুব কাছাকাছি এবং ফাঁকা। ফলে ডাকাতের দল ওই দিকটা নিরাপদ মনে করে রাস্তায় ডাকাতির সুযোগ নেয়। এ কারণে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ টহল দিলে ডাকাতির ঘটনা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা শাহানাজ খাতুন বলেন, স্থায়ীভাবে ডাকাতি বন্ধে ফলিমারি থেকে সোনাজল রাস্তার দুই পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের বাড়ি তৈরি করে বসতি স্থাপন করলে ডাকাতির ঘটনা বন্ধ হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টায় দুটি ঢাকাগামী নৈশকোচে সোনাজল নামক স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।