ফোনের রিং বেজে উঠল। কথা বলা শেষ হতে না হতেই প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু। দম ফেলার ফুরসত নেই, লাফ দিয়ে গাড়িতে উঠতে হয়। সাইরেন বাজিয়ে গাড়ি ছোটে ঝড়ের বেগে। সবার মাথায় ভাবনা একটাই—কত দ্রুত আগুন নিভিয়ে বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করা যায়।
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২২ উপলক্ষে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে গতকাল রোববার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মহড়ায় এমন দৃশ্যগুলোই ফুটিয়ে তুললেন।
অন্য সব দিনের মতো রোগী, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। কেউ কেউ হাসপাতালের এক ভবন থেকে আরেক ভবনে যাচ্ছেন চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য। এর মধ্যেই হঠাৎ কেঁপে উঠল হাসপাতালের ভবন। কিছুক্ষণ পর লেগে গেল আগুন। ভূমিকম্প ও আগুনের ঘটনায় রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের কর্মীরা ছোটাছুটি করছেন। অসুস্থ রোগীরা জীবন বাঁচাতে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ পারছেন আবার কেউ ব্যর্থ হচ্ছেন। এরই মধ্যে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে কাজ শুরু করে দেন।
পুরো ঘটনাই ছিল পরিকল্পিত। বড় কোনো দুর্যোগের এমন প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সি-ব্লক ভবনে। আয়োজনের শুরুতে ভূমিকম্প ও আগুনের ঘটনায় ভবনের ভেতরে আটকে থাকা রোগী ও তাঁদের স্বজনদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
মহড়ার পুরো অংশটি পর্যবেক্ষণ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। মহড়া শেষে তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। এই অর্জনের পেছনে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটারদের বহু আত্মত্যাগ রয়েছে।’