দিনভর ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি বা মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের দখলে থাকে নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যার হাসপাতাল। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকেরও একই অবস্থা। প্রতিদিন সকাল থেকে সেবাকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চলে টানাটানি। এতে রক্ষা হচ্ছে না রোগের গোপনীয়তা, প্রায়ই ঘটছে বাগ্বিতণ্ডা।
তাঁরা জানান, চিকিৎসকেরা রোগীর চেয়ে কোম্পানির প্রতিনিধিদের বেশি সময় দিচ্ছেন। তবে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ওমেদুল হাসান সম্রাট জানান, নির্ধারিত সময়ের আগে কোনো প্রতিনিধিকেই চেম্বারে ঢুকতে দেওয়া হয় না।
সূত্র জানায়, সৈয়দপুর উপজেলায় বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির ৯ শতাধিক বিক্রয় প্রতিনিধি আছে। তাঁদের ওপর চাপ থাকে নির্দিষ্ট ওষুধের বিক্রি বাড়ানো। আর এতে নির্ভর করে চাকরির পদোন্নতি ও বেতন-কমিশন। এ কারণে ব্যবস্থাপত্রে কোম্পানির ওষুধের নাম লেখাতে তাঁরা তৎপর।
সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ওষুধ কোম্পানির কয়েকজন প্রতিনিধি অবস্থান করছেন। চিকিৎসকের রুম থেকে রোগীরা বের হলেই ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। পরিচয় জানতে চাইলে তাঁদের একজন নিজেকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেন। নাম ও ভেতরে ঢোকার কারণ জানতে চাইলেই দ্রুত তিনি সটকে পড়েন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলেমুল বাশার আজকের পত্রিকাকে জানান, দুপুর ১২টার পর ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশের জন্য বলা হয়েছে। কাগজে লেখা এ-সংক্রান্ত নোটিশও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে লাগানো আছে।