নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হাবিবুল আলম বীর প্রতীক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মাহামুদুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলার পেড়লী গ্রামের মোল্যা টিপু সুলতানসহ তিনজন অভিযোগ করেছেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, গত ২০১৯ সালের ১২ আগস্ট কলেজটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গত ২ বছরেও পরিচালনা কমিটি গঠন না করে মেয়াদ উত্তীর্ণ পকেট কমিটির পরামর্শে কলেজটি পরিচালনা করে আসছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। অভিযোগকারী মো. টিপু সুলতান অভিযোগ করার সত্যতা স্বীকারসহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, গত ২০১৯ সালের মার্চে মো. মাহামুদুল হক অধ্যক্ষের চেয়ারে বসার পর যথাসময়ে পরিচালনা কমিটি গঠন না করে নিজের খুশিমতো ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মাহামুদুল হক কলেজ তহবিল থেকে টাকা তোলার সত্যতা স্বীকার করলেও বাকি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব চলমান রয়েছে। পরিচালনা কমিটি নিয়ে আদলতে মামলা চলমান থাকায় নিয়মিত বা অ্যাডহক কমিটি গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে কলেজটিতে কোনো পরিচালনা কমিটি না থাকায় নিয়ম অনুযায়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বাক্ষরে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা তোলাসহ সার্বিক কাজকর্ম পরিচালনা করা হচ্ছে। স্থানীয় দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে তাঁকে হয়রানির জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
কালিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেছেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে কোনো কমিটি না থাকায় প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক বিষয়টি তিনি দেখভাল করেন।