হোম > ছাপা সংস্করণ

বৃষ্টিতে ধানচাষির মাথায় হাত

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কয়েকদিন ধরেই সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে দিনমজুরেরা রয়েছেন সবচেয়ে বিপাকে। কৃষকেরাও আমনের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে বটিয়াঘাটার বেশির ভাগ আমন ধানখেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রোপা আমন ধান কাটা। অনেক কৃষক ধান কেটে রেখেছেন বিলে। বৃষ্টিতে এখন তলিয়ে গেছে এসব কাটাধান। এই নিয়ে তারা এখন অনেকটাই দিশেহারা। কৃষকেরা বলছেন, এভাবে বৃষ্টি হলে তাদের ধান জমিতেই নষ্ট হয়ে যাবে। তা ছাড়া যেসব ধান এখনো পাকে নাই এর অবস্থাও খুব খারাপ হবে।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, গতবারের তুলোনায় এবার ধানের মৌসুম খুবই ভালো। এবার ধানে পোকামাকড়সহ অন্যান্য রোগ নেই বললেই চলে। যেখানে গত বছর কারেন্ট পোকায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই অঞ্চলের কৃষকদের ধান।

উপজেলার বারোআড়িয়া এলাকার কৃষক সমির মিস্ত্রী বলেন, বৃষ্টির কারণে এসব এলাকার বেশিরভাগ কাঁচা পাকা ধান খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। জমিতে বেশি দিন পানি থাকলে কাটা ধান একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, অনেক কৃষক বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেছেন। ফলে সঠিক সময়ের মধ্যে ধান মাড়াই করে ঘরে তুলতে না পারলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা।

বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রবিউল ইসলাম বলেন, গতবার আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ৪৩ হাজার ৮৩৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছিল। চলতি বছরেও ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আশা করা হয়েছিল ৪৪ হাজার মেট্রিকটন ধানই উৎপাদন হবে। এবার ধানের ফসল গতবারের তুলনায় অনেক ভালো। যে কারণে এবার উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি আরও বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে আধা পাকা ধানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দুদিন টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে তেরখাদাবাসী। সবচেয়ে বিপদে রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে অঝোর ধারায় ঝরছে বৃষ্টি। রোববার দিনভর বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট কাঁদা পানিতে একাকার হয়েছে। সারা দিনই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলেও রাত থেকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব কাটলেই তাপমাত্রা কমবে, আর এই সময় থেকে বাড়তে থাকবে শীতের তীব্রতা। বুধবার থেকে জাওয়াদের প্রভাব কেটে যাবে। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে, সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ