ফুল, ফল, বনজ, ওষধি গাছের নার্সারি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আসাদুজ্জামান আসাদ। এখন তাঁর নার্সারিতে দেশি-বিদেশি দেড় শতাধিক প্রজাতির ৩০ হাজার গাছের চারা রয়েছে।
আসাদের বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেংকান্দা এলাকায়। ২০০৯ সালে নার্সারি করেন তিনি। এখন নার্সারি থেকে বছরে প্রায় ১৫ লাখ টাকার চারা বিক্রি করছেন। খরচ শেষে প্রায় আড়াই লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা তাঁর থাকে।
আসাদ জানান, বিভিন্ন জাতের ফুলসহ ফলজ ও বনজ গাছের চারা তাঁর নার্সারিতে আছে। তিনি সিলেট, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উন্নতমানের গাছের চারা ও বীজ সংগ্রহ করে পরবর্তীতে দেশীয় পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করেন।
দেশি ও বিদেশি দেড় শতাধিক জাতের ফুল, ফল, ওষধি ছাড়াও আমেরিকার অ্যাভোকাডো, অস্ট্রেলিয়ার প্যাসন ফল, সোমালিয়ার সারওয়ার সোপ, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন জাতের ফল, ফুল গাছের চারা আছে তাঁর নার্সারিতে। এ ছাড়া স্ট্রবেরি, মুছারী কমলা, রাম্বুটান, প্যানফলও রয়েছে তাঁর নার্সারিতে।
আসাদ আরও জানান, প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকার গাছের চারা বিক্রয় হয় বলে জানান তিনি। এই আয় থেকে ছোট ভাই-বোনের লেখা-পড়া করানোসহ সংসার চালান তিনি।
ইচ্ছে আর পরিশ্রম করলে অনেক কিছুই করা সম্ভব বলে জানান আসাদ। তিনি বলেন, ‘নার্সারির পাশাপাশি এক বছর ধরে রঙিন মাছ চাষে মনোনিবেশ করেছি আশা রাখছি মাছ চাষেও সফল হব। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে থেকে প্রতিদিন মোবাইলে কল আসে, নার্সারির খোঁজ-খবর নেওয়া এবং চারা তৈরির ব্যাপারে পরামর্শ চেয়ে থাকে। ভবিষ্যতে আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় সহজে গাছের চারা উৎপাদন করার কৌশল বের করার চেষ্টা করছি।’