কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পাঁচ নম্বর দামিহা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুস সালামের স্ত্রীর নামে রয়েছে দুস্থ মাতার কার্ড। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলার সাতটি ইউপির নির্বাচন। দামিহা ইউপিতে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম। তাঁর স্ত্রী সাবিকুন্নাহারের নামে রয়েছে অসচ্ছল দরিদ্র পরিবারকে দেওয়া দুস্থ মাতার কার্ড। এ কথা জানাজানি হওয়ায় ভোটের মাঠে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার কাজলা সিংগুয়ারপাড় গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সালাম।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুস সালামের কাছে জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘দারিদ্র্যের কথা বিবেচনা করে দামিহা ইউনিয়নের তখনকার চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভূঁঞা আমার স্ত্রী সাবিকুন্নাহারকে (ভিজিডি) কার্ড করে দেন। গত ৯ এপ্রিল ২০১৯ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ২৪ মাসে ৭২০ কেজি সরকারি চাল উত্তোলন করি। পরে আমার ব্যবসার উন্নতি ও প্রসার হলে সেই চাল এলাকার একজন প্রতিবন্ধী ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিই।’
আবদুস সালাম আরও বলেন, ‘দুস্থ মাতার কার্ডধারীর স্বামী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এ রকম কোনো বিধান নেই। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এলাকার এক শ্রেণির কুচক্রীমহল ভোটের মাঠে আমাকে হেয় করছে।’