শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সাত মাসের শিশু সিন্নাতুর নূর নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবারের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন স্ত্রী অমি আক্তারসহ রুবেল মিয়া নিজেও। স্ত্রীর ডান পা হাঁটু পর্যন্ত কাটা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ অবস্থায় পাগলপ্রায় রুবেল মিয়া। স্বজনেরাও সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না।
মমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের ত্রিশালের কাজির শিমলা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ও আহতের স্বজনদের আহাজারি। শিশু সিন্নাতুর নূরসহ আরও অনেকে আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে চুরখাই কমিউনিটিবেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১টার দিকে সিন্নাতুর নূর মারা যায়। গুরুতর আহত শিশুটির মা অমি আক্তারের ডান পা হাঁটু পর্যন্ত কেটে ঢাকায় স্থানান্তর করেন চিকিৎসকেরা।
নিহত শিশু সিন্নাতুর নূরের বাবা রুবেল মিয়া বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘আল্লাহ তুমি আমার শিশু বাচ্চাকে কেন নিয়ে গেলে। আমাকে নিয়ে যেতে। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব? আমার কেন মরণ হলো না?
শিশুটির নানি জামেদা আক্তার কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তিন দিন আগে নরসিংদীর ঘোড়াশাল থেকে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে মেয়ে অমি আক্তার বেড়াতে আসে। সকালে বাস দিয়ে যাওয়ার পথে পড়ে মারা যায় নাতি। মেয়ের অবস্থাও খুব খারাপ। তিনি বলেন, ‘আমি এখন কী করব, কীভাবে মেয়ের জামাইকে সান্ত্বনা দেব?’
এ বিষয়ে মমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের উপপরিদর্শক আক্তারুজ্জামান বলেন, ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু মারা গেছে। আহত হয়েছেন ১০-১২ জনের মতো। আহতদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজনের অবস্থা খুব খারাপ। অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।