পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে মারধরের মামলায় চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায়কে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মামলার যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায়ের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন পঞ্চগড়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির সরকার। এ ছাড়া মামলার অপর দুই আসামির জামিন বহাল রেখেছেন আদালত।
অনিল চন্দ্র রায় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠী হাজরা ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চেংঠী হাজরা ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামকে গত বছর ২০ জুলাই রাতে চেয়ারম্যান অনিল ও শহিদুলের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে শহিদুলকে মারধর করেন চেয়ারম্যান অনিল ও তাঁর সহযোগীরা। পরে তিনি ওই বছর ১৮ আগস্ট চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে তাঁর ছেলে মানিক চন্দ্র রায় ও তাঁর সহযোগী কানাই চন্দ্র সেনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এদিকে মামলার পর গেল বছরের ২২ ডিসেম্বর ইউপি চেয়ারম্যানসহ অপর দুই আসামি পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীকালে তাঁরা জেলা জজ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন।
তবে মামলার তিন আসামি মামলার জামিনে থাকা অবস্থায় বিচারিক কাজ চলমান ছিল। এর মধ্যে পিবিআই তাঁদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সেই সঙ্গে মামলার ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ২৪ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এদিকে আদালতের পুলিশ পরিদর্শক (কোর্ট ইনচার্জ) আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ মামলায় ৩ জন আসামি ছিলেন। প্রধান আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকি দুই আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন।