বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনী প্রচারের সময় স্বতন্ত্র দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার এলাঙ্গী বাজার এলাকায় গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ উভয়পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন। সংবাদ পেয়ে রাতেই থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ২৮ নভেম্বর। উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। আতাউর রহমান পলাশ ও জি এম সম্রাট এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান পলাশ ও তাঁর সমর্থক আসাদুজ্জামান লিপ্টন, মনির হোসেন, মেহেদী হাসান বাপ্পি আহত হন। এ ঘটনায় আহত মেহেদী হাসান বাপ্পি বাদী হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম সম্রাটসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম সম্রাট ও তাঁর সমর্থক ফজর আলী, বেলাল হোসেন আহত হন। এ ঘটনায় নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান পলাশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে আতাউর রহমান পলাশ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এলাঙ্গী বাজারে একটি ওষুধের দোকানে বসে নির্বাচনী আলোচনা করছিলেন। এ সময় জি এম সম্রাট ও তাঁর সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় ওই দোকানসহ ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে জি এম সম্রাট বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য শৈলমারী যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। এলাঙ্গী বাজার এলাকায় দোকানের সামনে প্রচারের সময় আতাউর রহমান পলাশ ও তাঁর লোকজন হামলা চালালে তিনি ও তাঁর দুই কর্মীকে আহত হন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাস্থল রাতেই পরিদর্শন করা হয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।