নীলফামারীতে মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধে ১০ দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছেন সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিকেরা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এই সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তাঁদের আরোপ করা অবরোধ তুলে নেন।
আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে গতকাল সকালে আন্তজেলার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে দুপুরে দূরপাল্লার বাস ও কোচ চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় বিপাকে পড়েন রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। তাঁরা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বিকল্প পরিবহনে গন্তব্যে রওনা দেন।
সদরের দারোয়ানী এলাকার মাহামুদুল হাসান বলেন, ‘অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে রংপুর থেকে বাসে করে সৈয়দপুরে আসি। এখানে এসে দেখি নীলফামারীর বাস বন্ধ। এই বাস শ্রমিকেরা ইচ্ছে করেই আমাদের ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছেন।’
আন্দোলনকারী সুপারভাইজর হোসেন আলী বলেন, ‘সৈয়দপুর থানার সামনে থেকে ২০ টাকায় নীলফামারী ও ৫০ টাকায় ডোমারে নিয়ে যাচ্ছে অটো ও সিএনজি। হাইকোর্ট থেকে অটো ও সিএনজি নিষিদ্ধ থাকলেও সৈয়দপুর থানার সামনে থেকে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে।’
পরিবহন শ্রমিকদের এই অবরোধের জেরে সন্ধ্যায় জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহনওয়াজ শানু ও জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দেওয়ান মজিবুদ্দৌল্লাহ জকি শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। শেষে ১০ দিনের মধ্যে আন্তজেলা সড়কে ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধে প্রশাসনকে আলটিমেটাম দেওয়া হয়।