পবিত্র কোরআনে বর্ণিত পবিত্র ও নিষিদ্ধ চারটি মাসের মধ্যে অন্যতম রজব। ঐতিহাসিকদের একটি বর্ণনা মতে, এ মাসের ২৭ তারিখ মহানবী (সা.)-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের ঘটনা সংঘটিত হয়। বছরের শ্রেষ্ঠ মাস রজমানের প্রস্তুতি এই রজব থেকেই শুরু করার জোর তাগিদ দিয়েছেন মহানবী (সা.)।
হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, যখন রজব মাস শুরু হতো, রাসুল (সা.) তখন এ দোয়াটি পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান, ওয়াবাল্লিগনা রমাদান’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধি করে দিন।’ (আল-মুজামুল আওসাত: ৩৯৩৯)
এ দোয়ার আলোকে আলেমরা রজব ও শাবান মাসে নফল ইবাদত বেশি বেশি করার প্রতি জোর দিয়ে থাকেন। সেই লক্ষ্যে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া যায় এবং সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখা যায়। এ ছাড়া মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের নফল রোজাও পালন করা যায়। এতে করে সুন্নত পালনের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ এক মাস রোজা পালনের প্রস্তুতিও সেরে নেওয়া যায়।
সুতরাং রজব ও শাবান মাসে নেক আমল সম্পাদন এবং পাপ কাজ বর্জনের মাধ্যমে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। রমজানে যেন ইবাদতের পরিবেশ রক্ষা হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। গরিব মানুষ যেন ভালোভাবে সাহ্রি ও ইফতার করতে পারে, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিষয়ে পরিকল্পনা করাও এ দুই মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল।