মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে নড়বড়ে কাঠের পুলে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। উপজেলার আড়িয়ল খালের ওপর নির্মিত কাঠের পুলটি সংস্কারের অভাবে পাটাতনের তক্তা ভেঙে গেছে। পুলের খুঁটিগুলোও নড়বড় করছে। যেকোনো সময় পুলটি ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে আটটি নড়বড়ে কাঠের খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে আছে পুলটি। ভাঙা কাঠের নড়বড়ে পুলটির অনেক অংশে কাঠ ভেঙে ফাঁকা হয়ে গেছে। পথচারীরা পারাপারের সময় পুলটি দুলতে থাকে। পারাপারের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে আপরকাঠি ও পূর্ব বালিগাঁও গ্রামের মানুষ ওই পুলের ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তৎকালীন আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্রকল্পের সভাপতি মতিউর রহমান সেন্টু এবং তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলামের চেষ্টায় ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে কাঠের পুলটি নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিবীর এন্টারপ্রাইজ ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য, ৬ ফুট প্রস্থ এ পুল নির্মাণ করে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম আড়িয়লের সাগর চানের বাড়িসংলগ্ন খালের ওপর পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁদের দাবি আজও পূরণ হয়নি।
সরজমিন দেখা যায়, কাঠের পুলে ওঠা-নামার জন্য দুই পাশে কোনো কাঠ লাগানো হয়নি। পুলটির দুই পাশে ফাঁকা থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ছোট ছোট কোমলমতি শিশুসহ বৃদ্ধরা।
স্থানীয় বাসিন্দা অনিক শেখ জানান, কাঠের পুলটির দুই পাশে ফাঁকা থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে মানুষ। এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার বাঁশ দিয়ে পুলটির ভাঙা অংশ মেরামত করেছেন। তাই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাদির হাওলাদার জানান, কাঠের পুলের পরিবর্তে সেখানে পাকা কালভার্ট নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে।