দেশের গণমাধ্যম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলেছেন, বিশ্বে যে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি যত খারাপ, সেই দেশে গণমাধ্যম তত শৃঙ্খলিত। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা বেশি, সেখানে গণমাধ্যম তত সংকুচিত এবং ততটাই ঝুঁকিতে। তাই মুক্ত গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সুরক্ষা একে অন্যের পরিপূরক।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল মঙ্গলবার মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এমন মতামতই দিয়েছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ সভার আয়োজন করে।
সভায় জানানো হয়, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ২৮২টি অভিযোগ পেয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩০টি।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। তিনি বলেন, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের তথ্য অনুযায়ী গত বছর বিশ্বজুড়ে ৯৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। জাতীয় মানবাধিকারবিষয়ক উপস্থাপনা তুলে ধরেন কমিশনের পরিচালক কাজী আরফান আশিক।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব সেবাস্টিন রেমা। আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।