গোলাপজান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার এক সহায়-সম্বলহীন নারী। গৃহহীন এ নারীকে জমিসহ ঘর তৈরি করে দিচ্ছে পুলিশ। ঘরটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের উদ্যোগে সারা দেশের প্রত্যেক থানায় একজন করে ভূমি ও গৃহহীনকে ঘর করে দিচ্ছে পুলিশ। সেই উদ্যোগের আওতায় পাকুন্দিয়ায় গোলাপজান ঘর পাচ্ছেন। সপ্তাহখানেক পর তাঁর হাতে হস্তান্তর করা হবে ঘরের চাবি ও জমির দলিল। জীবনের শেষ সময়ে স্বপ্নের ঘর পেয়ে হতাশার মধ্যে সুখের দেখা পাচ্ছেন গোলাপজান। এ যেন শুধু ঘর নয়। একজীবনের পুরো সুখ। ঘর পাওয়ায় বেশ আনন্দিত তিনি। চোখে-মুখে তাঁর আনন্দ-উচ্ছ্বাস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের বিলের কাছে মনোরম পরিবেশে দুই শতক জমির ওপর নতুন ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইটের বদলে পাথরের ব্লক দিয়ে নির্মিত হচ্ছে মজবুত ঘর। ভিটসহ কক্ষ দুটি পাকা। ওপরে থাকবে ঢেউটিন। দুই কক্ষের পাশে নির্মাণ হচ্ছে শৌচাগার। পাশেই ছেলেকে নিয়ে ঘরের নির্মাণকাজ দেখছেন গোলাপ জান।
কথা হয় গোলাপজানের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁর বয়স ৫০-এর কাছাকাছি। তিনি নামাপাড়া গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে। পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল নরসিংদীর বেলাব উপজেলায়। স্বামী অন্যত্র বিয়ে করায় অভিমান করে পেটে সন্তান নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন।
গোলাপজান আরও বলেন, ‘সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল নিজের একটি ঘর হবে। জীবনের শেষ সময়ে এসে নিজের ঘরে উঠতে পারব, ভেবে খুশি লাগছে। নিজের ঘরে ছেলে ও তাঁর সন্তানদের নিয়ে শেষ সময়টুকু কাটাতে পারব। পুলিশ আমাকে ঘরটি করে দিচ্ছে। নিজের নামে দুই শতক জমির দলিলও পেয়েছি। এ জন্য পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে আইজিপি মহোদয়ের প্রচেষ্টায় সারা দেশে ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। সে মোতাবেক এই থানায় গোলাপজান নামের এক নারীকে একটি ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট মজবুত এ ঘরটির সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করছে বাংলাদেশ পুলিশ।’