হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে প্রতিবেশীর জমির ওপর দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী পরিবারের রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বাধা দেওয়ায় হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগের পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, নবীগঞ্জ উপজেলার তাড়ালিয়া গ্রামের সুধীর গোপ ও তার ভাইয়েদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া একটি ধানিজমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি এই জমিটির ওপর নজর পড়ে এলাকার প্রভাবশালী জহুর আলী ও শওকত আলীর। তাঁরা নিজেদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার অন্য একটি রাস্তা থাকার পরও সুধীর গোপের জমির ওপর দিয়ে আরেকটি রাস্তা নির্মাণের পাঁয়তারা করেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে জহুর আলী, তাঁর ছেলে হোসাইন আহমেদ লালন, শওকত আলীর দুই ছেলে রফিক আলী ও শফিক আলীসহ তাঁদের লোকজন সুধীর গোপের জমি থেকে মাটি কেটে জমির মাঝখান দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ করে। এ সময় সুধীর ও তাঁর ছেলে এবং ভাই ভাতিজারা বাঁধা দিলে দখলকারীরা তাঁদের মারধর করে। একপর্যায়ে তাঁরা সুধীর গোপের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকেলে সুধীর গোপের ছেলে শুভ্র গোপ জহুর আলী ও শওকত আলী গংদের ২৩ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেন। শনিবার সকালে আবারও উত্তেজনা দেখা দিলে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেন।
এ ব্যাপারে সুধীর গোপ বলেন, ‘আমরা নিরিহ সংখ্যালঘু হওয়ায় জহুর আলী, শওকত আলী ও তাঁর ছেলেরা প্রায় সময়ই আমাদের ওপর নির্যাতন করে। এখন তাঁরা আমাদের জমিটি দখল করে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করে নিয়েছে। এমনকি বাঁধা দেয়ার কারণে তাঁরা আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে।’
ইউপি সদস্য ইকবাল আহমেদ ছালিক বলেন, ‘জহুর আলী ও শওকত আলীর ছেলেরা এমনিতেই খারাপ লোক। তাঁরা প্রায় সময়ই সুধীর গোপের পরিবারের ওপর হামলা করে। কারণে অকারণে তারা এই পরিবারের লোকদের মারপিট করে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জহুর আলী ও শওকত আলীর পক্ষের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার যখন তারা রাস্তা নির্মাণ করে তখন খবর পাওয়ার পরই রাত ৩টার সময় পুলিশ পাঠানো হয়। শনিবার আবার আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুই পক্ষকেই শান্ত থাকতে বলেছি এবং বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি।’