যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কিংবা পদপ্রত্যাশী তাঁরা। তবে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট, প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির জন্মতারিখ, এমনকি বর্তমান চেয়ারম্যানের নামও বলতে পারেননি অনেক নেতা। গতকাল শনিবার রহমতপুরের কামিনীকুঞ্জ পেট্রল পাম্প এলাকায় বরিশাল মহানগর ও জেলা যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় অনেকে আবার নিজের ইউনিট কমিটির সম্পাদকীয় পদের নাম বলতে পারেননি। বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলমের এমন সব সাংগঠনিক প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হন ৯০ ভাগ স্থানীয় যুবলীগ নেতা। বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এ সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অনেককেই।
জেলা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন এ তথ্য স্বীকার করে বলেন, ‘সাংগঠনিক চর্চা ও লেখাপড়া না করায় কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি স্থানীয় নেতারা।’ দলছুট ও অরাজনৈতিক কর্মীদের সংগঠনে পদবি দেওয়া ঠিক নয় বলে মনে করেন তিনি।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এবং মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে ঘিরে বরিশাল যুবলীগ দুই ভাগে বিভক্ত। গ্রুপের শক্তি প্রদর্শনে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীদের উপস্থিত করায় বর্ধিত সভা পরিণত হয় জনসভাতে।
সভার প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস।