গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে আরইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল সোমবার উপজেলার কাটাবাড়ি এলাকায় সাহেবগঞ্জ ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সমাবেশে বক্তারা সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
এর আগে, ২০০৬ সালে চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক-সাঁওতাল–পুলিশ ত্রিমুখী সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত হন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সূত্রমতে জানা যায়, চিনিকলের জমিতে আরইপিজেড স্থাপনে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। আর সাঁওতালদের দাবি, সেটি তাঁদের পৈতৃক জমি। এই জমিতে আরইপিজেড নির্মাণ প্রতিহত করবেন বলে জানান তাঁরা।
এ ছাড়া সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি বেপজার কাছে ২১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় চিনিকলের ১ হাজার ৮০০ একর জমি বিক্রি হয়েছে। তবে একটি সভায় বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আরইপিজেডের কাজ শুরু করার আগে সাঁওতালদের সঙ্গে আলোচনা করে হবে।
অন্যদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আরইপিজেড বাস্তবায়ন হলে এলাকার দুই লক্ষাধিক মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
সাহেবগঞ্জ ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে জানান, এখন সেখানে আরইপিজেড নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ সাঁওতালরা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি ধারাবাহিক পালন করে আসছে। এতেও আরইপিজেড নির্মাণ বন্ধ না হলে পুনরায় সহিংসতার শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এরপরও যদি বেপজা ওই জমিতে আরইপিজেড নির্মাণের কাজ শুরু করে, আমরা তা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করব।’