দোয়ারাবাজারে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেলের আঘাতে দুই পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫৫ রাউন্ড (রাবার) বুলেট ও তিনটি টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। গত শনিবার সকালে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন পরবর্তী পরাজিত দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সামছুল হক নমু ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল হক নমু ভোটারদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করলে নুরুল আমিন এর সমর্থকেরা এতে ক্ষিপ্ত হন। এরই জেরে সানিয়া, প্রতাবের গাঁওসহ আশপাশের গ্রামের ভোটার সমর্থক এবং সামছুল হক নমুর বালিউরা, চাটুরপাড়, ফুলকারগাঁও কয়েক গ্রামের দুই পক্ষের ভোটার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হান্নান মিয়া জানান, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল হক নমু ভোটারদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় নুরুল আমিনের এক সমর্থক গ্রামবাসীকে জানিয়ে দেয়। ওই দিন রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সামছুল হক নমুর আত্মীয় ও নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুল হেকিম এলাকাবাসীর কাছে ছুটে আসেন। এ সময় নুরুল আমিনের সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে দুই পক্ষের কয়েক গ্রাম লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের বাধলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েক গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য সিলেটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মামলা হয়নি।