জয়পুরহাটের বড়তারা গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা একটি মামলা করেছেন। গতকাল শনিবার ক্ষেতলাল থানায় করা মামলায় ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হয়রানি সইতে না পেরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে আব্দুর রাজ্জাক নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাঘাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪০) দীর্ঘদিন থেকে ওই ছাত্রীকে হয়রানি করে আসছিলেন। গত ৭ নভেম্বর রোববার ওই স্কুলের এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল ওই ছাত্রী। অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেলে সে বাড়ি ফিরছিল। পথে বড়তারা গ্রামের শাহিনুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়।
শাহিনুর তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে ভিন্ন পথ ঘুরে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরের সামনে নামিয়ে দেন। এ সময় রফিকুল এসে ওই ছাত্রীকে কৌশলে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করেন। তখন ওই ছাত্রীর কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে রফিকুল পালিয়ে যান।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘আসামিরা পলাতক আছে। আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিদের আমরা দ্রুত গ্রেপ্তার করব।’