মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, আনন্দ র্যালি ও স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সরাইল মুক্ত দিবস। গতকাল ৮ ডিসেম্বর সকালে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে চত্বর মঞ্চে মুক্ত দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আজিজুল হক। সভায় ৩ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহন করেন।
এদিকে গতকাল সকালে সরাইল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলীর সভাপতিত্বে সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম মৃদুল, সরাইল সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহানা নাসরিন, বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বরের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা সরাইলকে হানাদার মুক্ত করে সরাইলে উড়ায় লাল সবুজের পতাকা। সরাইলের ইতিহাসে এ দিনটি বিশেষ স্মরণীয় দিন।
সাবেক কমান্ডার ইসমত আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস আগামী প্রজন্মকে জানাতে এ দিনটির গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু সরাইলে এ দিনটি পালনে অনেকেরই এক ধরনের উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম মৃদুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দিবসটি সরাইলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে প্রতিবছর এই দিবসটি ঘটা করে পালন করা দরকার।’