ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কি আপনার প্রিয় ক্লাব?
হোবার্ট বিমানবন্দরের কফিশপ থেকে মাত্রই কফি নিয়েছেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। হঠাৎ তাঁকে কেন এই প্রশ্ন করা হচ্ছে, তিনি বুঝেছেন। গায়ে তাঁর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের লাল জার্সি। ‘হ্যাঁ, আমার প্রিয় ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আপনার?’—ব্রাথওয়েটের পাল্টা প্রশ্ন। উত্তরটা শোনার পর খুব একটা প্রসন্ন মনে হলো না তাঁকে। তা আপনার প্রিয় খেলোয়াড় কে? এবার ব্রাথওয়েটের উত্তর, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো’—ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ব্রাথওয়েট এতটাই পছন্দ করেন, তাঁর স্ত্রী জেসিকা ফেলিক্স আর সন্তান ইডেনের গায়েও উঠেছে লাল জার্সি। ‘ইডেন’ নামটা শুনে কি ইয়ান বিশপের সেই বিখ্যাত কথাটা মনে পড়ে? ‘রিমেম্বার দ্য নেম…’—২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইডেন গার্ডেনের ফাইনালে ব্রাথওয়েটের অতিমানবীয় ইনিংসটা এনে দিয়েছিল উইন্ডিজকে শিরোপা। ইডেন গার্ডেন সেই থেকে হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাথওয়েটের। আর সেই ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবেই কন্যাসন্তানের নাম রেখেছেন ‘ইডেন’।
এখনো ব্যাট-প্যাড তুলে রাখেননি। সিডনিতেই যেমন এসেছেন ক্রিকেটিং গিয়ার্স নিয়ে। এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্রাথওয়েটকে দেখা যাচ্ছে ধারাভাষ্যকার হিসেবে। গতকাল হোবার্ট থেকে ফেরার সময় যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, দুবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এভাবে বিদায় নিল, কারণটা কী? ‘বুঝতেই পারছেন, দেখতেই পারছেন…’—ব্রাথওয়েটের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল প্রশ্নটা তাঁর কাছে অস্বস্তির। কিন্তু আরেকটি প্রশ্নের উত্তর তাঁর কাছে আছে। কোনটি সহজ, ধারাভাষ্য নাকি ছক্কা মারা?
‘ছক্কা মারা’—মুখে মৃদু হাসি ঝুলিয়ে কফি হাতে স্ত্রী-সন্তানের কাছে চলে গেলেন ব্রাথওয়েট।
নাসেরের আগে হোবার্ট বিমানবন্দরে ঢুকতেই দেখা হলো শন পোলকের সঙ্গে। গত পরশু বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের সঙ্গে। ব্যাড লাক—পোলক এ সান্ত্বনার বিপরীতে বললেন, ‘নো মোর লাক!’