জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। আসামিরা সবাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের সমর্থক বলে জানা গেছে।
রফিকুল ইসলামের সমর্থক ও মামলার প্রধান আসামি মশিউর রহমান মোর্শেদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারলেও বাকিদের ধরতে পারেনি।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছে পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিন (২৫), সাগর মিয়া (৩০), জুলফি (৩৫), ডুরিয়ারভিটা গ্রামের নাজমুল হুদা (৪০), জুলহাস (৪০), রুবেল মিয়া (৩৫), ফাইজুল (৩২), আজিজ (৩৮), আতিক (৩২), রনি (২৮), লিটন মিয়া (৪১), আ. আজিজ (৪৮) ও চেচিয়াবাধা গ্রামের রব্বানী (৪৭), সবুজ (৪০) ও জাহাঙ্গীর (৪৭)। তারা সবাই গা ঢাকা দিয়েছে।
পুলিশের কাজে বাধা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে গত ৭ জানুয়ারি রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক শফিউল আলম সোহাগ বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় নাম উল্লেখ করে ১৬ জনকে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০-৪৫ জনকে আসামি করা হয়।
সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, পুলিশের কাজে বাধা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। ঘটনার সময় একাধিক মামলার আসামি মশিউর রহমান মোর্শেদকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত শুক্রবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের সমর্থক মশিউর রহমান মোর্শেদের নেতৃত্বে কিছু লোক যমুনা সার কারখানা এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ একাধিক মামলার আসামি মোর্শেদকে আটক করে। এতে রফিক ও মোর্শেদের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ইটপাটকেলের আঘাতে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আব্দুল লতিফ আহত হন।
মামলা বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শফিউল আলম সোহাগ জানান, মামলার পর বাকি আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে।