অ্যান্টিগা টেস্টে গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত ১৬ উইকেট নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসাররা। এক ইনিংসে বাংলাদেশি পেসাররা নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই তথ্যের সাধ্য নেই ইবাদত হোসেন-খালেদ আহমেদরা কী দারুণ বোলিংটাই না করেছেন।
প্রথম ইনিংসে দেড় সেশনের কম খেলে ১০৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এই টেস্টে লড়াইয়ের মনোবল সেখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা সফরকারীদের। তবে উজ্জীবিত বোলিংয়ে সেটা হতে দেননি বাংলাদেশ পেসাররা।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামের উইকেটে সে অর্থে সবুজ ঘাস নেই। এখানে-ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঘাস কাজে লাগানোর কাজটা বোলারের দক্ষতার ওপর নির্ভর। পেসস্বর্গ অ্যান্টিগার চেনা উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসারদের জন্য কাজটা যতটা সহজ, বাংলাদেশ পেসারদের জন্য ততটাই কঠিন। একাদশে থাকা তিন পেসারই প্রথমবার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে টেস্ট খেলছেন। তবু চ্যালেঞ্জ উতরে যাওয়ার সব চেষ্টাই করেছেন খালেদ-ইবাদতরা।
উইকেট সে অর্থে গতিময় নয়। ব্যাটারকে উইকেটে আটকে রাখতে সিমের ব্যবহার করে বোলিং গুরুত্বপূর্ণ। উইন্ডিজ পেসাররা সে কাজটাই করেছে। মুভমেন্ট করা বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে আসার পরিসংখ্যানে অ্যান্টিগা ওপরের দিকেই আছে। গত ২০ বছরে অন্তত ১০ টেস্ট খেলা ভেন্যুগুলোর মধ্যে অ্যান্টিগায় প্রায় ৩০ শতাংশ উইকেট এভাবেই পেয়েছেন পেসাররা।
ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত গলে একাধিক ক্যাচ হাতছাড়ার পরও এখানে বাংলাদেশ পেসাররা খারাপ করেননি। ডোনাল্ড তাঁর শিষ্যদের নিয়ে তৃপ্ত, ‘ইবাদত ও খালেদের মধ্যে দারুণ প্রতিভা রয়েছে। গত কয়েকটি টেস্টে আমরা কিছু জিনিস বাস্তবায়ন করতে পারিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসাররা প্রথম ইনিংসে নতুন বলে দারুণ করেছে। যে দৃঢ় মনোভাব আমরাও দেখিয়েছি, সেটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।’