কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আমিরুল ইসলাম হত্যার চার দিন পার হলেও থানায় মামলা হয়নি। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন। রাতে মামলা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
অপরদিকে হত্যার ঘটনায় হামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে পাহাড়পুর গ্রামের অর্ধেক পরিবার পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। পুরুষশূন্য এসব পরিবারের নারীরাও হামলা ও ভাঙচুরের ভয়ে ঘরের আসবাবপত্র ও গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে অন্যান্য গ্রামের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে পাহাড়পুর গিয়ে দেখা যায়, সুনসান পরিবেশ। মোড়ে মোড়ে পুলিশের অবস্থান। মাঝে মাঝেই টহল দিচ্ছেন পুলিশ। অর্ধেক গ্রামে নেই পুরুষ। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তার, সমাজপতিদের দলাদলি ও উসকানিতে ২০২০ সালের ৩১ শে মার্চ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নেহেদ আলী (৬৫) ও বকুল আলী (৫৫) নামের আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার পরদিন নিহত নেহেদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১ এপ্রিল ২৮ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার ভয়ে আসামিরা ও ঘটনায় প্রাণভয়ে পালিয়ে যায় প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। ওই ঘটনার জেরেই গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিপক্ষের লোকজনই আমিরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহতের স্ত্রী জহুরা খাতুন বলেন, ‘খুনের বদলা নিতে প্রতিপক্ষরা বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। থানায় মামলা করব। এ হত্যার বিচার চাই।’