কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিল বকেয়ার অভিযোগে রেলওয়ে কলোনির প্রায় ১৫০টি বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ দিন ধরে বাসাগুলোয় গ্যাস না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কলোনির বাসিন্দারা। ফলে অনেকেই মাটির চুলায় রান্না করছেন। আবার কেউ কেউ এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে বাধ্য হয়েছেন।
দেড় বছর ধরে গ্যাসের বিল পরিশোধ না করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভৈরব আঞ্চলিক তিতাস গ্যাস বিপণন কার্যালয়। তবে, রেলওয়ে কর্মচারীদের দাবি—প্রতি মাসেই নিজেদের বেতন থেকে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল কেটে নেওয়া হচ্ছে। তবু কেন গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, তা জানে না তারা।
ভৈরব তিতাস গ্যাস কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৫২৫ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। ফলে বকেয়া আদায়ের জন্য তিতাস গ্যাসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন কলোনি, চণ্ডীবের ফেরিঘাট কলোনি ও ইএন অফিস রেলওয়ে কলোনির মোট ১০১টি চুলার গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যদিও রেলওয়ে কলোনিতে বসবাসকারী রেলওয়ে কর্মচারীদের দাবি, তাঁদের কোনো বকেয়া নেই। তা ছাড়া, কোনো নোটিশ কিংবা সতর্কতা ছাড়া হঠাৎ করে গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে চারটি রেলওয়ে কলোনির ১৫০টি বাসার গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবহারকারী। ফলে বাসাগুলোতে স্বাভাবিক রান্না বন্ধ হয়ে পড়ছে।
তিতাস গ্যাস ভৈরব জোনাল অফিসের ইনচার্জ শামীম হোসেন জানান, তিতাস গ্যাসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেই গ্যাস-সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়ে হয়েছে।