হোম > ছাপা সংস্করণ

ঝিনাইদহ-২: ঘাঁটি দখলে মরিয়া দুই দল

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ

প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে চালাচ্ছেন জনসংযোগ। গ্রুপিং থাকায় দুই দলের প্রায় এক ডজন প্রার্থী এরই মধ্যে মাঠে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। কোনো উপলক্ষ পেলেই পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে যাচ্ছে এলাকা। তবে কেউই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা প্রকাশ্যে বলছেন না।

চিত্রটা ঝিনাইদহ-২ আসনের। সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে আসনটি গঠিত। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে টানা তিনবার এ আসনের এমপি হন বিএনপির মসিউর রহমান। সে কারণে বলা যায়, একসময় আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সে ঘাঁটিতে হানা দিলেও ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হারাতে হয় আসনটি। ২০১৮ সালে আসনটি ফিরে পায় আওয়ামী লীগ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও আসনটি ধরে রাখতে চায়। আর বিএনপি চাইছে তাদের সেই পুরোনো ঘাঁটি ফিরে পেতে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস ও নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।

নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত না হলেও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ এবং সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মসিউর রহমানের ছেলে ডা. ইব্রাহীম রহমান বাবু, জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস। জাতীয় পার্টি থেকে জেলা কমিটির সভাপতি রাশেদ মাজমাদার ও সহসভাপতি মেজর (অব.) মাহাবুবুর রহমান মনোনয়ন চাইতে পারেন। তবে তাঁদের মধ্যে নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি।

আওয়ামী লীগের এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে ভোটার এবং স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দূরত্ব রয়েছে। জেলা এবং দলীয় কর্মসূচিতে তাঁর অনুপস্থিতি সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে এ দূরত্ব আরও বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক নেতা। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে এটি বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে অভিযোগ তাঁদের।

আওয়ামী লীগের সাইদুল করিম মিন্টু জানান, ‘জনগণ যাকে চাইবে তিনিই দলীয় মনোনয়ন পাবেন। এটি নির্ধারণ করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।’ 
বিএনপির দুটি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগ্রামে অংশ নিচ্ছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত থাকছেন, যা দলের গ্রুপিং স্পষ্ট করে তুলছে। যদিও তাঁরা বিভক্তির বিষয়টি মানতে নারাজ।

বিএনপির এম এ মজিদ জানান, ‘একটা দলে একাধিক প্রার্থী থাকতে পারে, এটাই তো স্বাভাবিক। গত সংসদ নির্বাচনে আমার দল থেকে আমি একক প্রার্থী ছিলাম। দলের বিবেচনায় আমি প্রত্যাশা করি, এবারও প্রার্থিতা পাব। বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং নেই, প্রতিযোগিতা থাকতে পারে।’

বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী বলছেন, প্রয়াত মসিউর রহমানের ছেলে ডা. ইব্রাহীম রহমান বাবু এবার মনোনয়ন পেতে পারেন। ইব্রাহীম রহমান বাবু বলেন, ‘আমার বাবা সারা জীবন ঝিনাইদহের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমি তাঁর সন্তান হিসেবে মানুষের সেবায় কাজ করে যেতে চাই। জেলার উন্নয়ন কার্যক্রম আরও এগিয়ে নিতে চাই। দল নির্বাচনে এলে আমি অবশ্যই মনোনয়ন পাব বলে আশা রাখি।’

জাতীয় পার্টির রাশেদ মাজমাদার বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। কেন্দ্র থেকে নির্বাচনসংক্রান্ত নির্দেশনা এলেই আমরা মাঠে নামব।’ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে শহরে একাধিকবার বিএনপি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনা, যেখানে আহত হয়েছেন অনেকে। তবে সাধারণ মানুষ চাইছে, সংঘাত নয়, আসন্ন সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির মাঠে থাকবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, যেখানে সব দলের প্রার্থী এবং কর্মীরা জনসংযোগ করতে পারবেন। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ