নরসিংদী সদর উপজেলার জেলখানা মোড়ে ফুটওভারব্রিজের পাশে শীতকালীন পিঠা বিক্রি করেন মালেক মিয়া। টানা ১০ বছর একই জায়গায় ভিন্ন স্বাদের শীতকালীন ভাপা পিঠা বিক্রি করে সাড়া ফেলেছেন তিনি। তাঁর তৈরি ভাপা পিঠা খেতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভিড় করেন নরসিংদীসহ আশপাশের অনেক পিঠাপ্রেমী।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই পিঠার দোকানে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ‘দাওয়াত রইল, আসবেন কিন্তু অবশ্যই’ লেখা একটি ব্যানার ঝুলছে। নিচেই আসনে বসে বিভিন্ন ধরনের ভাপা পিঠা তৈরি করছেন মালেক মিয়া। সন্ধ্যার পর অন্ধকার যত বাড়ছে, মালেক মিয়ার দুই জোড়া চুলায় বসানো বিশেষ পাতিলের ভাপ ততই বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভিড়। খাতা-কলমে পৌষ মাস না এলেও নতুন চালের ভাপা পিঠা আর শীতের আগমনকে স্বাগত জানাতে এখানে প্রতিদিন ভিড় করেন পিঠাপ্রেমী মানুষ। মালেক মিয়াকে মামা হিসেবে সম্বোধন করেন ক্রেতারা। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি। বৈশিষ্ট্য অনুসারে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার পর্যন্ত দামের ভাপা পিঠা তৈরি করেন মালেক মিয়া। ভাপা পিঠার স্বাদ পেয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতারাও। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হয় এখানে।
নরসিংদীর মাধবদী থেকে আসা মো. সেলিম নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘এখানকার তৈরি ভাপা পিঠার ভিন্নতা রয়েছে। পিঠাকে স্বাদযুক্ত করতে চেষ্টার কমতি নেই। তাই ২০০ টাকা দামের দুটি পিঠা কিনেছি পরিবারের জন্য।’
পিঠা বিক্রেতা মালেক মিয়া বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন আসেন পিঠা খেতে। আগে বিভিন্ন রকমের ভাপা পিঠা বিক্রি করতাম না। তিন বছর ধরে বিভিন্ন রকমের ভাপা পিঠা বিক্রি করি। স্বাভাবিক চালের গুঁড়া, গুড় ও নারিকেলের পাশাপাশি মালাই, পোলার চাল, কিশমিশ, খেজুর, পেস্তাবাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদামসহ বিভিন্ন উপাদান যুক্ত করে পিঠা তৈরি করি। এই রকম পিঠা কেউ খাওয়াতে পারবে না—এইটা আমার চ্যালেঞ্জ।’