প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র সুবর্ণ নাগরিক কার্ড দিতে দুর্গাপুরের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী আখেরুল ইসলাম কার্ড দিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দাবি করছেন। ন্যুনতম ৩০ টাকা দিলেই দিচ্ছেন কার্ড।
অভিযোগ স্বীকার করে আখেরুল ইসলাম বলেছেন, মিষ্টি খেতে টাকা নিয়েছেন তিনি। তবে, কাউকে জোর করে না।
দুর্গাপুরে সমাজ সেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলার নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিচয়পত্রের জরিপ কাজ চলছে। জরিপ শেষে অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ‘সুবর্ণ নাগরিক’ পরিচয়পত্র।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন কিসমত গণকৈড় ইউনিয়নের উজালখলসী গ্রামের প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ (৫৫)। তিনি বলেন, সুবর্ণ নাগরিক কার্ড দিতে ১০০ টাকা দাবি করেন অফিস সহকারী আখেরুল। তিনি গরিব মানুষ। গাড়ি ভাড়ার টাকাও মানুষের কাছে থেকে চেয়ে এনেছেন। এরপরও ৫০ টাকা দিয়েই কার্ড হাতে পেয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবন্ধীর স্বজন বলেন, কার্ড হাতে ধরিয়ে দেওয়ার পর ২০০ টাকা দাবি করেন আখেরুল। তাঁর কাছে এত টাকা ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৩০ টাকা দিয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে অফিস সহকারী আখেরুল ইসলাম বলেন, ‘৩০, ৫০, ১০০ টাকা— ঘুষ না। আমি মিষ্টি খেতে নিয়েছি। তাঁরাও ইচ্ছা করে আমাকে মিষ্টি খেতে দিয়েছেন। আমি জোর করে টাকা নিইনি। আমি সম্প্রতি চাকরিতে যোগদান করেছি। আমার ভুল হয়েছে।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আ ন ম রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ডাক্তারি শনাক্তের পর কার্যালয় থেকে ‘সূবর্ণ নাগরিক’ দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতিবন্ধীদের কোনো টাকা দিতে হবে না। কেউ যদি টাকা চান তা অমানবিক। তবে উনি (আখেরুল) টাকা নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ আমার কাছে নেই। বিষয়টা খতিয়ে দেখা হবে।’