পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৩১ শিশু শিক্ষার্থীকে বই দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। কর্মকর্তারা গত রোববার বিকেলে রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুর কসবা গ্রামে হিন্দুপল্লিতে গিয়ে বইগুলো বিতরণ করেন।
সেই সঙ্গে কর্মকর্তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী ৩১ শিক্ষার্থীকে ক্লাসে ফেরাতে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেন। এসব শিক্ষার্থী উপজেলার দ্বারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিতে পড়ে।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর রাতে মাঝিপাড়ায় হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা হিন্দুদের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে ১৮টি ঘরের জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে যায়।
রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এম শাহাজাহান সিদ্দিক, সহকারী কর্মকর্তা আহসান হাবিব, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক-উজ-জামান ও সহকারী কর্মকর্তা শাহানা পারভীন রোববার মাঝিপাড়া পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানান। পাশাপাশি শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য তাঁদের বুঝিয়ে বলেন।
কর্মকর্তারা পরে বড় করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দ্বারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিক-উজ-জামান জানান, পীরগঞ্জের হিন্দুপল্লিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ৩১ শিশু শিক্ষার্থীর পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীদের ৩১ সেট বই দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ওই শিশুদের বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) প্রকল্প থেকে পোশাক ও শিক্ষা উপকরণও দেওয়া হবে।
রফিক-উজ-জামান আরও বলেন, ‘গত ৩০ অক্টোবর থেকে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ শুরু হয়েছে। কিন্তু হিন্দুপল্লির ওই শিশুরা বিদ্যালয়ে না যাওয়ায় কৃমির ওষুধের ডোজ পায়নি। তাই তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আর আমি শুরু থেকেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও শিশুদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।’