বেগম মুশতারী শফীর মতো এ রকম মানুষের সংখ্যা এখন অনেক কম। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই তিনি প্রগতিশীল-সাংস্কৃতিক আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
উনি নিজে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে উনি স্বামী এবং ভাইকে হারিয়েছেন। এই অবস্থাতেও নিজের ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে এগিয়ে গেছেন। সন্তানদের মানুষ করেছেন, বাংলাদেশের প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে গেছেন।
এ জন্য আমরা বিশেষ করে নাগরিক সমাজ তাঁর অভাবটা ভীষণভাবে বোধ করব।