হোম > ছাপা সংস্করণ

আলোড়ন তুলে এখন ধ্বংসের প্রান্তে

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

একসময় দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে রেলওয়ে ওয়াহেদ বক্স মিলনায়তনটি। এখন অযত্ন আর অবহেলায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। হারিয়ে গেছে এর জৌলুশ। বন্ধ হয়েছে সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। এখন শুধু পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ভবন। সান্তাহার পৌর এলাকার ইয়ার্ড কলোনিতে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ওয়াহেদ বক্স মিলনায়তনকে এলাকার সবাই রেলওয়ে ইনস্টিটিউট নামে চেনে।

নব্বই দশক পর্যন্ত সান্তাহারের সব সভা-সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই ওয়াহেদ বক্স মিলনায়তনকে রাখত জমজমাট। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলতো সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। মিলনায়তনের চারদিকে আলোকসজ্জা, বর্ণাঢ্য গেট, সাউন্ড বক্স আর মাইকের শব্দে পুরো সান্তাহার শহর থাকত মুখরিত। মিলনায়তনের ভেতরে চলতো স্থানীয় ও জাতীয় শিল্পীদের সংগীত, নাটক, নাটিকা, কৌতুকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শত শত নারী-পুরুষের কলকাকলিতে মুখরিত থাকত এই মিলনায়তন। প্রতি বছর এই মিলনায়তনে হতো আন্তজেলা নাট্য উৎসব। সারা দেশের একাধিক নাট্য দল অংশ নিত প্রতিযোগিতায়।

তরুণ নাট্য নির্মাতা ও চৌপাশ নাট্যাঞ্চলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজা ফকির বলেন, ‘ভবনটি কেউ দেখলে বিশ্বাস করবে না এর ইতিহাস। অযত্ন আর অবহেলায় যেন রুগ্‌ণ জীর্ণ এক পরিত্যক্ত ভবনে পরিণত হয়েছে। এলাকার সব মানুষ আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এই মিলনায়তনকে। আমরা চৌপাশ নাট্যাঞ্চলের দল বিশেষ বিশেষ দিনে নাটক পরিবেশন করে এখন চেষ্টা করছি ওয়াহেদ বক্স মিলনায়তনের অতীত জৌলুশ ধরে রাখা জন্য।’

সান্তাহার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোরশেদ খান বলেন, ওয়াহেদ বক্স মিলনায়তনের বাইরে সুপরিসর একটি খেলার মাঠও রয়েছে। সেখানে সব ধরনের খেলা চলতো বছরব্যাপী। মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক জনসভা কিংবা ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল হতো এই মাঠে। সবকিছু মিলিয়ে ব্রিটিশ আমল থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত এই ইনস্টিটিউট ছিল উপজেলার প্রাণকেন্দ্র।

নাট্য অভিনেতা আলম খান আক্ষেপ করে বলেন, নাটক করার জন্য আর মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। নাটক নেই বলে সমাজের যুবকশ্রেণি অবক্ষয়ের দিকে পা বাড়াচ্ছে। সান্তাহার রেলওয়ে ওয়াহেদ বক্স মিলনায়তনে দর্শক আসনসংখ্যা ছিল ৪ শ। এখন ওইসব আসন ও মঞ্চ সবকিছুই বিলীন হওয়ার পথে।

সান্তাহার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলিম উদ্দিন বলেন, ‘কয়েকদিন আগে গিয়ে দেখি সান্তাহার রেলওয়ে ইনস্টিটিউটের ভিন্ন চিত্র। হারিয়ে গেছে এর জৌলুশ, বন্ধ হয়ে গেছে সকল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। এখন শুধু পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ভবন ছাড়া আর কিছুই নেই। এই ভবনের আশপাশ এলাকা গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। ওয়াহেদ বক্স মিলনায়তনকে সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সরকারের রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ