করোনা থেকে ক্রমশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। দেশে দেশে বাড়ছে উৎপাদন কার্যক্রম। ফলে জ্বালানি তেলের চাহিদা ও দাম উভয়ই বাড়ছে। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পেট্রল ও ডিজেলে লিটারে যথাক্রমে ৫ ও ১০ রুপি আবগারি শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে দাম লাগাতার বাড়িয়ে দীপাবলির দিন থেকে জ্বালানির শুল্কে ছাড় দেওয়া নিয়ে সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, পেট্রল-ডিজেলের কর ছাড়ের কারণে ভোক্তা ব্যয় বাড়বে। মূল্যস্ফীতি সীমিত থাকবে। ফলে মধ্যবিত্ত ও গরিবেরা উপকৃত হবে।
বিবিসি জানায়, কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার পর বিজেপি বা তাদের মিত্রদের শাসিত অন্তত ১০টি রাজ্য উভয় পণ্যে অতিরিক্ত অন্তত ৭ রুপি কর ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে।
কেন্দ্রকে অনুসরণ করে রাজ্যগুলোর এমন সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্পাদক কুণাল ঘোষ এক টুইটে লেখেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো কেন্দ্রের প্রাপ্য ঠিকমতো পায়। এমনকি বাড়তিও পায়। কেন্দ্র থেকে বাংলাই কেবল বকেয়াই পায় না। লাগাতার রেকর্ড দাম বাড়িয়ে মানুষের চোখে ধুলো দিতে কর কমানোর নাটক। আগে মূল দাম কমানো হোক।’
কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলোও দাম না কমিয়ে জ্বালানির কর কমানোর সমালোচনা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মন্দের ভালো হয়েছে। কিন্তু ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৫ টাকা ছাড় দেওয়াকে কি কমানো বলে?’