দেশে উত্তরের সর্বশেষ জেলা পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়া। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় এই উপজেলায় প্রতি শীত মৌসুমে কনকনে শীত অনুভূত হয়। এবারে গত সাত দিন ধরে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন রেকর্ড তাপমাত্রা।
আর এ উপজেলায় এক সপ্তাহ ধরে টানা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, এ উপজেলা থেকে হিমালয় অনেক কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসের ফলে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এ মাসের দিকে তাপমাত্রা আরও কমবে এবং শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত কখনো ঘন, আবার কখনো মাঝারি ধরনের কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে চারপাশ। সঙ্গে বইতে শুরু করে হিমেল হাওয়া। সকালের পর কিছুটা সূর্যের আলো দেখা গেলেও সূর্যের উত্তাপ মিলছে না।
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের নিজবাড়ী এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম। তিনি পাথরশ্রমিকের কাজ করেন। জাহিদুল বলেন, ‘শীতের কারণে আমরা নদীতে নেমে পাথর উত্তোলন করতে পারছি না, ঠান্ডা করে। কয়েক দিন ধরে অনেক বেশি করতেছে।’
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত উত্তরের বয়ে আসা হিমালয়ের হিম বায়ুর কারণে এখানে শীতে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। দীর্ঘস্থায়ী শীত অনুভূত হয়।’
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু প্রতিবছর এই উপজেলায় কনকনে শীত অনুভূত হয়, তাই আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। যারা প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষ তাদের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।’