হোম > পরিবেশ

এবার টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে ভেসে এল মৃত পরপইস

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত পরপইস। বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটির মৃতদেহ আজ রোববার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ সৈকতের চৌকিদারপাড়ায় ভেসে আসে। 

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) বিজ্ঞানীরা মৃত প্রাণীটির নমুনা সংগ্রহ করে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে চেষ্টা করছেন। এ সময় পাশের শামলাপুর সৈকতে একটি অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙের সামুদ্রিক কচ্ছপ ভেসে এসেছে। 

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হিমছড়ি সৈকতে একই প্রজাতির একটি পরপইসের মৃতদেহ ভেসে এসেছিল। এই পরপইসটি উদ্ধারের পর বোরির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, দেশে এর আগে পরপইস ভেসে আসেনি।

গত ১৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এক নাগাড়ে সামুদ্রিক প্রাণীর মৃতদেহ ভেসে আসে। এর মধ্যে চারটি ডলফিন, অন্তত ৮০টি অলিভ রিডলি ও বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী রয়েছে।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ সকালে জোয়ারের সঙ্গে পরপইসটি ভেসে আসে। এটির দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি। ওজন ৪৫ কেজি। বয়স ৯-১০ বছর। দেখতে ইরাবতী ডলফিনের মতো জলজ স্তন্যপায়ী এ প্রাণী ইংরেজিতে ইন্দো-প্যাসিফিক ফিনলেস পরপইস হিসেবে পরিচিত। 

বৈজ্ঞানিক নাম নিওফোকেনা ফোকেনয়েডস। কিন্তু এদের পৃষ্ঠীয় পাখনা থাকে না। বাচ্চা অবস্থায় কালো রঙের হলেও বয়সের সঙ্গে রং বিবর্ণ হয়ে যায়। এটি ৫-৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের মজবুত শরীর টেপা ফ্লুকের মতো এবং মাথা অনেকটা গোলাকার। এই প্রাণীটি অগভীর জল, জলাভূমি ও মোহনায় বিচরণ করতে পছন্দ করে বলে জানান তরিকুল ইসলাম। 

তরিকুল ইসলাম বলেন, এরা সাধারণত একাকী চলাফেলা করে। তবে মাঝেমধ্যে খাদ্য সংগ্রহের সময় এদের ৫ থেকে ১২টি বা ৫০টির বেশি দলবব্ধ অবস্থায় ঘুরতে দেখা যায়। এরা মাছ, স্কুইড, চিংড়ি, অক্টোপাস এবং মাঝেমধ্যে সামুদ্রিক উদ্ভিদও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। সাধারণত বসন্তে বা গ্রীষ্মে প্রাণীটি বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চারা জন্মের পর মায়ের পিঠে লেগে থাকতে দেখা যায়। 

পরপইসটির মাথায় রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোনো নৌযানের প্রপেলারের সঙ্গে মাথায় ধাক্কা খেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে প্রাণীটি মারা পড়েছে। এ ছাড়া মানুষের অবিবেচনা প্রসূত আচরণ, নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার, অপরিকল্পিত পর্যটন, দখল, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, বাসস্থান নষ্ট ইত্যাদি কারণে বিশ্বব্যাপী বন্য প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। 

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তালিকায় এটি বিপন্ন প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত। ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সর্বশেষ জরিপে বঙ্গোপসাগরে মোট ১৩ জাতের সিটাসিয়ান বা সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী শনাক্ত হয়েছে। এ মধ্যে আট প্রজাতির ডলফিন, চার প্রজাতির তিমি ও মাত্র এক প্রজাতির পরপইস রয়েছে। 

গত বছর ৩০ মার্চ সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি মরা ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল। এর আগে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপসংলগ্ন সৈকতে একই প্রজাতির মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ও ২০ মার্চ একই সৈকতে মরা ডলফিন ভেসে এসেছিল। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেও টেকনাফ সৈকতে দুটি মরা ডলফিন ভেসে এসেছিল। 

এ ছাড়া গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতে একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুই দিনে হিমছড়ি সৈকতে দুটি মরা তিমি ভেসে এসেছিল।

ঢাকায় পড়েছে হালকা শীত

নতুন তথ্য বলছে, আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি উষ্ণ হয়েছে পৃথিবী

দূষণ বাড়ছে বাতাসে, যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন

ঢাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে

বিলুপ্তি থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঘের ফিরে আসার গল্পটি রুদ্ধশ্বাস

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চাইলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

দিল্লির বাতাসে দুর্যোগপূর্ণ দূষণ, ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় তাপমাত্রা ১৬.৫

শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’

ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর-পূর্ব জাপান, সুনামি সতর্কতা জারি