উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে আবহাওয়া অফিসের এক সতর্কবার্তায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ায় কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। এতে সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের গোসলে নামতে নিরুৎসাহিত করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা।
আবহাওয়া অফিসের বার্তায় বলা হয়েছে, বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রামসহ চার বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ তিন পার্বত্য জেলায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কাও রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় সাগরে গোসলে নামা ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে পর্যটকদের গোসলে নামতে নিরুৎসাহিত করছে সৈকতের নিরাপত্তায় থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা।