হোম > পরিবেশ

বায়ুমানের অবনতি, বায়ুদূষণে শীর্ষ তিনে ঢাকা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ফাইল ছবি

ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ২৭ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার অবস্থান ছিল অষ্টম স্থানে।

গতকাল সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে বা বাতাসের গুণমান সূচকে (একিউআই) ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৫১। আজ একই সময়ের রেকর্ড অনুযায়ী অবনতি হয়ে বাতাসের মান দাঁড়িয়েছে ১৭৫-এ, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

অন্যান্য দেশের বায়ুমানের সঙ্গে তুলনা করে তালিকা করা হয় বলে বায়ুমানের অবনতি হলেও প্রায়শই তালিকার নিচের দিকে চলে আসে ঢাকার অবস্থান। তবে, বেশির ভাগ সময় ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর, অস্বাস্থ্যকর এবং সংবেদনশীল মানুষের জন্য ক্ষতিকর পর্যায়েই থাকে।

আজ শুক্রবার, একিউআইয়ের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে আছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। শহরটির বায়ুমান ২৩৩, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আজ শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো যথাক্রমে—পাকিস্তানের লাহোর (২০৯), ভারতের দিল্লি (১৯০), আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স (১৭৬) ও নেপালের কাঠমান্ডু (১৬৭)।

বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শীতে কাঁপছে সারা দেশ ভোগাচ্ছে ঘন কুয়াশা

শীতের প্রকোপ বাড়ছে: ৭ জেলায় ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে কত দিন

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, সতর্ক থাকতে পারেন যেভাবে

মেঘলা ঢাকার আকাশ, কুয়াশার দেখা মিলতে পারে

শীতে জবুথবু, কুয়াশায় দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণ বেড়েছে ঢাকায়, বিপর্যস্ত কায়রো

ঢাকার তাপমাত্রা কমবে

বায়ু দূষণে তৃতীয় স্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি

ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা আবারও ১৬ ডিগ্রির ঘরে

সকালে সূর্যের দেখা নেই, কুয়াশাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ