দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত শনিবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। রুমগুলোতে আলো জ্বলেনি দীর্ঘ এই দেড় বছর। কারও পদচিহ্নও পড়েনি এই সময়টায়। আর এ সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ৪৩২ নম্বর কক্ষে বাসা বাঁধে এক জোড়া ঘুঘু। ঘরের মধ্যে ডিমও দিয়েছে তারা।
পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, বাসা বাঁধার মৌসুম ছাড়া সাধারণত দলে থাকতে পছন্দ করে ঘুঘু। ঝোপঝাড়, গাছের উঁচু-নিচু ডাল, পছন্দমতো জায়গা পেলেই ঘুঘু বাসা বাঁধে। তবে করোনাকালে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে হলের কক্ষকেই বেছে নিয়েছে ওই এক জোড়া ঘুঘু। গত ৩০ বছরে ঘুঘুর সংখ্যা কমেছে। কোথাও কোথাও এদের সংখ্যা কমে চার ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে লালন শাহ হলের ৪৩২ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, দেড় বছর পর হলের রুমে ঢুকেই ওই ঘুঘু জোড়ার উপস্থিতি লক্ষ্য করি। আমাদের দেখে উড়তে শুরু করে তারা। পাখিগুলো রান্নার হাঁড়িতে বাসা বেঁধেছে। সেখানে তারা ডিম পেড়েছে এবং বাচ্চা ফুটানোর জন্য তা দিচ্ছে।